বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সঙ্গে তার বিদেশে যেতে না পারার যে শর্ত সরকার দিয়েছে তাতে বিএনপি আশ্চর্য হয়নি।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। শনিবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো জানতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার (খালেদা জিয়া) পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম, তিনি যখন অত্যন্ত অসুস্থ ছিলেন, তখনও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন সেটা সরকার দেয়নি। আমরা খুব আশ্চর্য হয়নি যে, এখন সরকার ৬ মাসের মধ্যে বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মূল বিষয়টা হচ্ছে তারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এত বেশি ভয় পান যে কোনো মতেই ওনাকে দেশের বাইরে যেতে দিতে বা মুক্ত করার কথা ভাবতেই পারে না। এ জন্য যখন চিকিৎসকরা বলছেন, তার অ্যাডভান্স চিকিৎসা দরকার, তাতে একমত হচ্ছেন না তারা। তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছেন না, আটকে রাখছেন।’

বিএনপি দল হিসেবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিতে চাপ প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বললেন, ‘দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখন চাপ প্রয়োগ করব।’

সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের ব্যাংক হিসেবে তলব করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের জন্যে সরকারের এটা আরেকটা অপকৌশল এবং হাতিয়ার।’ 

বিএনপির বিভিন্ন কমিটিগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ কমিটি পুনর্গঠনের কাজ ‍শুরু হয়েছে ও চলছে। একইসঙ্গে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠনের কাজ বেশ কিছু দিন ধরে চলছে। থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে হয়ে গেছে। এখন জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে, শিগগিরই হয়ে যাবে। করোনার কারণে সম্মেলন করা হয়নি। এখন বেশিরভাগ সংগঠনের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। একইভাবে বিএনপিরও যেসব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল জানান, ‘গতকাল (শনিবার) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছিল। সভায় গত ১৪, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির ধারাবাহিক সভায় অংশ নেওয়া নেতাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। অবশিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে আগামী ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এএইচআর/ওএফ