বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের ঘরে-ঘরে বোবা কান্না চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, করোনার অভিঘাতে মানুষের আয় রোজগারে যখন টান পড়েছে তখন বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, তরিতরকারি, মাছ-মাংস, পোলট্রি মুরগি, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন। ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ অসম্ভব হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য।

রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বৃদ্ধি করা হয়েছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেট। আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিশি রাতের সরকার নির্লিপ্ত।

জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দয়ামায়া নেই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তাই আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

রিজভী বলেন, বর্গীরা যেমন আগে বাংলাদেশে আসত, লুট করে আবার চলে যেত। এরাও ঠিক একইভাবে লুট করছে এবং বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে। সেখানে দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।

এএইচআর/এসকেডি