ওবায়দুল কাদের /ফাইল ছবি

ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটকে প্রতিরোধের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চৌমুহনী ও হাতিয়ার বুড়িরচরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যখন তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করছে তখন দেশের চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ, মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয় ঘটেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক নীতির ভিত্তিতে। এ ধরনের হামলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে কুঠারাঘাতের শামিল। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর যেকোনো ধরনের হামলা বরদাশত করা হবে না। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার যেকোনো মূল্যে অসাম্প্রদায়িক নীতির সুরক্ষা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা কোনো অবস্থাতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ভূ-লুণ্ঠিত হতে দেবো না। এই বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায় ও ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষের। বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মভীরু, তবে সাম্প্রাদায়িক ও ধর্মান্ধ নয়। 

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের এসব জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাই। 

এইউএ/ওএফ