বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের মিছিল-মিটিং থেকে সরকারের শিক্ষা নেওয়া দরকার। আমরা কী বলছি, কী বলতে চাই, সেখান থেকে কোনো কথা দেশের কাজে আসবে কি না, সেটা সরকারকে বুঝতে হবে। সমালোচনা করলেই সরকার গোস্বা করে, রাগ হয়। আর আমাদের ছেলেপেলেদের পেটায়। 

আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

মানববন্ধনে মির্জা আব্বাস বলেন, ছেলেপেলেদের পিটিয়ে কি মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে? খাওয়ার জন্য যেমন মুখ দরকার আছে, তেমনি কথা বলার জন্য মুখের দরকার আছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কোনো লাজ-লজ্জা আছে বলে মনে হয় না। এত কথা, এত প্রতিবাদ, তাও এই সরকারের লাজ-লজ্জা হয় না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষ খুন করছে, গুম করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ এটা আর হতে দেবে না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে এই নেতা বলেন, টেলিভিশনে দেখলাম বাজারে কোনো খাদ্য দ্রব্যের অভাব নেই। যা চাইবেন সব আছে বাজারে। কিন্তু দাম বেশি। যার ফলে মানুষ কিনতে পারছে না। রিজার্ভ চুরি হলে পাগল অর্থমন্ত্রী বললেন ৪ হাজার কোটি টাকা, ৮ হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা না। কিন্তু অন্য পক্ষ, যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কাছে ১ টাকাও অনেক টাকা। কিছুদিন আগে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে, মূল্য বৃদ্ধির আঁচ যেন তাদের গায়ে না পড়ে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির হাজার হাজার কর্মী যে ডাকের অপেক্ষায় আছে, সেই ডাক দিলে এমন আন্দোলন হবে তাতে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আপনাদের সকলকে ভয় উপেক্ষা করে সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি আশরাফুল আলী, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ। এছাড়াও ছাত্রদলের পাঁচ শতাধিক কর্মী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এনএফ