দেশকে গুম-খুন থেকে রক্ষা করতে হলে আগে বর্তমান সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, সামনে যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার না হয়, এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে যাবে না। এখানে সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজ যে সরকার, তাদের অধীনে কোনো পরিবর্তনই সম্ভব না। গণতন্ত্র হত্যার জন্য তারাই দায়ী। তারা মানুষের ভোটের অধিকার হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে না। দেশের মানুষের সামনে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ, সেটা হলো গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে তা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গত নির্বাচনে তারেক রহমান বিদেশে, বেগম জিয়া জেলে। তবুও আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। আপনাদের সাহস তখন কোথায় ছিল? দিনের বেলা মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে আপনারা রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা (আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা) বলে বিএনপি নেই, অথচ বিএনপিকে নিয়ে কথা না বললে তাদের সকাল শুরু হয় না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার না হলে আমরা নির্বাচনে যাবো না। এই সরকার থাকলে তা হবে না, ফলে আমাদের আন্দোলনে যেতে হবে।

আলোচনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আজ আপনারা (আওয়ামী লীগ) সাহসের কথা বলেন। পারলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন না, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিন না, সেই সাহস তো আপনাদের নেই। এদেশের মানুষ তাদের পছন্দ করে, যারা গণতন্ত্রের পথে। স্বৈরতন্ত্রের পথে যারা, দেশের মানুষ তাদের পছন্দ করে না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ গিরগিটির মতো রঙ পাল্টায়। আরেকটা হলো সূর্যমুখী ফুলের মতো এরা। সূর্য যেদিকে যায়, সে সেদিকেও যায়। মনে রাখবেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাকে বরণের জন্য আপনাকে ফুলের মালা নিয়েও দাঁড়ানো লাগতে পারে।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস