সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। যারা উন্নয়ন ও নির্বাচনবিমুখ এবং আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ, তারা সরকারের অন্ধ সমালোচনাকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে। অনিয়ম আর দুর্নীতি ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে যারা কিছু উপহার দিতে পারেনি অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) বৃহত্তর চট্টগ্রাম জোনের অধীনে ছয়টি জেলা সড়ক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তার সবগুলো কাজ শেষ হলে বদলে যাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটনকে ঘিরে দেশের যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির ধারা তা আরও বেগমান হবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্রশস্তকরণ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারগঞ্জ হতে কক্সবাজার পর্যন্ত আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও চলমান রয়েছে। 

কক্সবাজার লিংক রোড-লাবনী পয়েন্টে চারলেনের কাজ শেষ পর্যায়ে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন পর্যটন মওসুমের আগেই এ মহাসড়ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আগামী বছর দেশের চারটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে। আমাদের সাহস ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতুতে আজ কার্পেটিং শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ইতোমধ্যেই ৭৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সকল জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা দুটি লেনসহ চারলেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দেশের মহাসড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি এখন নজর দেওয়া হয়েছে জেলা সড়ক উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন প্রয়াস তা দেশবাসীর কল্যাণে নিবেদিত।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহীদের উস্কানি না দিতে দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সবার তালিকা তৈরি হচ্ছে, সময়মত কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইউএ/এইচকে