গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিনাভোটের এই মাফিয়া সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে ভারত। ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলছে তাদেরকে তারা উৎখাত করে দিচ্ছে, কারাগারে ভরে রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই আলেম-ওলামাদের সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী বলে থাকেন। বাস্তবিক অর্থে এখানে যদি ইসলামিস্টদের উত্থান হয় ভারতের জন্য সেটা আতংকের। ভারত সবসময় এখানে ইসলামকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে কারণে তারা (সরকার) আলেম-ওলামাদের গুম করছে, সাধারণ মানুষকে গুম করছে, এগুলো ভারতের প্রেসক্রিপশন।’

রোববার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১০টায় রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ভয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রী জীবনযাপন করেন, এটা স্বয়ং ভারতের গণমাধ্যমই বলেছে। এমনকি এটাও বলেছে যে, জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদে পাঁচটা সদস্যভুক্ত দেশ বাংলাদেশে যে প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে, তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা রাখে ভারত। যে কারণে তারা প্রতিনিয়ত সীমান্তে রক্ত ঝরাচ্ছে আর এখানে ওবায়দুল কাদেররা তোতা পাখির বুলি আওড়াচ্ছেন যে, তাদের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক।’’

চলমান সংকট থেকে উত্তরণে ছাত্রসমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘ছাত্র-আন্দোলনের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতেই হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের পরও ৮ মাসের লড়াই-সংগ্রামের পর কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল করেছি। ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিয়ে ছাত্ররাও তার প্রতিদান দিয়েছে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় দেশকে বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণেও ছাত্র সমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’

আর সেক্ষেত্রে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত ও সচেতন করতে ছাত্র অধিকার পরিষদকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ। 

এইচআর/এইচকে