বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতা বাড়ছেই।  রক্তাক্ত ভোট যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আহত হয়েছে আড়াই হাজারের বেশি। এমন উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠামিশ্রিত পরিস্থিতির মধ্যে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত ‘দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন ও তৃণমূলে সহিংসতা : দায় কার?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন ঘিরে এমন রক্তক্ষয়ী সহিংসতার প্রধান কারণ হচ্ছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠান। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণেই তৃণমূল পর্যায়ে সহিংসতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই দলীয় প্রতীক ছাড়াই স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া এখন সময়ের দাবি।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় ইউপি নির্বাচন মানে ছিল গ্রামবাংলায় ভোটের উৎসব। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় রেখে এ উৎসবে অংশ নিতেন। কিন্তু দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর পর সেই সম্প্রীতি কমেছে অনেকটাই। তার বদলে তৈরি হচ্ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় পরিবেশ।

একসময় সরকারের প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর ইউপি নির্বাচন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষপাতের বাইরে উল্লেখ করে গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন দলভিত্তিক নির্বাচনের কারণে সংঘাত-সহিংসতা আগের চেয়ে বেড়েছে। যে কোনো উপায়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন নিতে অসৎ প্রতিযোগিতায় রাজনৈতিক অবক্ষয়ও ঘটছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ফায়দা হাসিলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন। আবার সরকারি দলের প্রতীকবঞ্চিত নেতারাও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পেশিশক্তি দেখান, যার অনিবার্য ফল সহিংসতা।

নাগরিক মঞ্চের সভা প্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএলডিপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, জাতীয় পার্টি-জেপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ মহাসচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, এফডিপি আহ্বায়ক ও মঞ্চের সদস্য সচিব ড. এ আর খান, এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, বিডিপির সভাপতি সামছুল আলম চৌধুরী সুরমা, বিজিএ চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নারী নেত্রী রোখসানা আমিন সুরমা প্রমুখ।

এএইচআর/এসকেডি