আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতীয় চার মূলনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ্য নেতৃত্বে আবার মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ পুনরুজ্জীবিত করেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। ২১ ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, সমুদ্রসীমা জয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, স্যাটেলাইটের নিজস্ব মালিকানা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, দারিদ্র বিমোচন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীকরণসহ সুদূরপ্রসারী সাহসী নেতৃত্বদানে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে শেখ হাসিনা আজ অন্যতম। 

তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় আনতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত সকল কর্মসূচি আজ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত।

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ডা. খালেদ শওকত আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাসান-উজ-জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

এইউএ/ওএফ