নতুন বছরে বিরোধীদের কোনো ‘গোলমাল’ চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে দলকে আরও সুসংগঠিত ও গণমুখী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

তারা বলছেন, ২০২১ সালে করোনার যে ভয়াল থাবা, লকডাউন ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক চাপ— সেগুলো মোকাবিলা করে যে সফলতা তারা দেখিয়েছেন; সেটি ধরে রেখে ২০২২ সালে আরও সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাবেন তারা।

একই সঙ্গে যারা বিরোধী দলে আছেন, যারা কখনও কখনও দেশে গোলমাল সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন, তারাও বুঝবেন যে এই বিপদের সময় (করানোকালে) তারা এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়, জনগণ কষ্ট পায়— বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

তাদের প্রত্যাশা, নতুন বছর সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ধারা যেন অব্যাহত থাকুক। মানুষে মানুষে শান্তির বন্ধন অটুট থাকুক। নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনায় দলকে অধিকতর গণমুখী, অধিকতর সংগঠিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রা আরও গতিসম্পন্ন, টেকসই, মজবুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে অবদান রাখবে আওয়ামী লীগ। 

নতুন বছরের প্রত্যাশা কী— জানতে চাওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খানের কাছে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি বলব যেকোনো জিনিসের ইন্ডিকেটর আগে তৈরি হয়। ২০২১ সালে আমাদের যে সফলতা, আমরা এটাকে কেরি (বহন) করে নিয়ে যাব। ২০২২ সালেও সতর্কতার সঙ্গে আমাদের যে অগ্রযাত্রা তা অব্যাহত রাখব।’

ফারুক খান বলেন, জনগণের পাশাপাশি আমাদের যারা বিরোধী দল, যারা কখনও কখনও দেশে গোলমাল সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তারাও বুঝবেন যে এই বিপদের সময় তারা এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে দেশের অগ্রগতি বাধার মুখে পড়ে, জনগণ কষ্ট পায়। 

একই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নতুন বছর আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বর্তমানে যেভাবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ধারা যেন অব্যাহত থাকুক। এটাই আমরা চাই। মানুষ যেন শান্তির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক। 

‘আমরা যেন সব ধরনের সম্প্রীতি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারি, আমরা সবাই যেন শান্তিতে ও নিরাপদে বসবাস করতে পারি— এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

নতুন বছরে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো আছেই। আমাদের এখানে সব সময় সব স্বপ্ন পূরণ করা যায় না। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা— অনেক বিষয় এখানে কাজ করে। তবে, আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট থাকব। বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামাজিকভাবে আমরা চেষ্টা করব, দলীয়ভাবেও যতটা সম্ভব সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকারকে সহায়তা করা।’

‘গেল বছর (২০২১ সাল) ছিল দুর্ভাগ্য, দুঃখ, মানুষের জীবন রক্ষা, মানবসেবা ও কোনো রকম সার্ভাইভ (টিকে থাকা) করার বছর’— উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘চারিদিকে ছিল করোনার ভয়াল থাবা, লকডাউন, অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক চাপ। পাশাপাশি করোনা ও ক্ষুধা থেকে মানুষকে রক্ষার ভয়াবহ চাপ সামলাতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। রাব্বুল আল-আমিনের নিকট আমাদের প্রার্থনা, অনুগ্রহ করে তিনি যেন আমাদের করোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দিয়ে একটি আলোকোজ্জ্বল পৃথিবী দান করুন। আমাদের দেশ ও সমাজকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার তৌফিক দিন।’

তিনি বলেন, নতুন বছরে নতুন উদ্দীপনায় আমরা আওয়ামী লীগকে অধিকতর গণমুখী, একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রা আরও দ্রুতগতিসম্পন্ন, টেকসই, মজবুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে অবদান রাখতে চাই।

এইউএ/এমএআর/