বিরোধীদের দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী একটি সরকার। তারা কোনো ধরনের ভিন্ন মত বা ভিন্ন চিন্তা সহ্য করে না। যার ফলে তারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে এবং অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে দেখতে যান তিনি। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়। 

সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সে লক্ষ্যেই তারা কাজ করে চলেছে। আমরা আবারও বলছি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সরানো হবে এবং এই নির্যাতন-নিপীড়নের উত্তর জনগণই দেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিজেরা দেখেছেন, তার (রিংগন) পুরো শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ভাগ্যক্রমে তার চোখ বেঁচে গেছে। তবে মুখে পিঠে, বুকে সমস্ত জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে এভাবে গুলি চলানো হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ শাম্মী আখতার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব। 

এএইচআর/এসকেডি