বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) সংলাপ ডাকাচ্ছেন। আজ সংলাপের নামে রাষ্ট্রপতি হকারগিরি করছেন। আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিফলন ঘটবে। তারা একটা তামাশা করে যাচ্ছে।’

সোমবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের সাম‌নে বাংলা‌দেশ ফেডা‌রেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (‌বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবা‌দিক ইউনিয়‌ন আয়োজিত এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর করোনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। করোনা যেমন রূপান্তর হচ্ছে, আওয়ামী লীগও নিজে রূপান্তর হচ্ছে। এ দুটি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আওয়ামী লীগও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়, করোনাও মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। আজ বাংলাদেশের জীবন কাড়ার এক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করেছে এ নব্য বাকশাল আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) চেষ্টা করছে বাংলাদেশ থেকে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। যে মামলার কোনো সত্যতা নাই, কোনো প্রমাণ নাই, কোনোভাবে প্রমাণ করতে পারেননি, শেখ হাসিনা শুধু গায়ের জোরে বন্দি করে রেখেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। তাকে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকেধুঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজ জনগনের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি কত তামাশা করছেন।’

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য, চিরদিন টিকে থাকার জন্য যা কিছু করার তিনি সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটা করে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ তো জানেই আস্তে আস্তে বিশ্বের কাছে সরকারে বোরখা খুলতে শুরু করেছে। আমি বলব প্রধানমন্ত্রীকে, আপনার সরকারের সেই বোরখা খোলার আগে পদত্যাগ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ দিন। রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। তা নাহলে যখন সবকিছু উন্মোচন হয়ে যাবে তখন পালিয়েও নিজের ভূত আর ঢাকতে পারবেন না।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাকের হোসাইন প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ