ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবিতে সরকারকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ। 

তিনি বলেন, তাজমেরী ইসলামসহ সকল পেশাজীবী নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামী সপ্তাহে আমরা কর্মসূচি পালন করব। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে দেখতে চাই, তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয় কি না। যদি মুক্তি দেওয়া না হয়, তবে রাজপথে আমাদের আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শওকত মাহমুদ বলেন, আজকের এ স্বৈরাচারী সরকার পতনের প্রাক্কালে এবং জনগণের বিজয়ের কিছু আগে শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলা শুরু করেছে। তাজমেরী ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে ভয় ধরানোর জন্য। কোনোভাবেই আমরা পিছু হটব না। পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব ইনশাল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, সরকারের ঘৃণ্য তৎপরতা, হত্যা, মামলা, গুম করা এগুলোকে আমরা এবার রুখে দেবো। প্রয়োজনে আমরা ১৪৪ ধারা দেবো এ সরকারের দালালদের বিরুদ্ধে। আমরাই লকডাউন দিয়ে সরকারকে আটকে ফেলব। সুতরাং সময় আর বেশি নেই।

এ সাংবাদিক নেতা বলেন, তাজমেরী ইসলাম আজকে কারাগারে, রুহুল আমিন গাজী কারাগারে। তাদের জামিন দেওয়া হয় না। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা কিন্তু জনগণের রোষানল থেকে বাঁচতে পারবেন না। যদি না আপনারা আইনের শাসন অনুযায়ী কাজ করেন। আমরা এ সরকারকে দেখছি পতনের আগে বিভিন্ন লবিস্ট নিয়োগ করে যাচ্ছে। কিন্তু লবিস্ট নিয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজকে যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, দেশের মানুষের বিবেক যেভাবে জাগ্রত হয়েছে। তাতে আপনারা পারবেন না জনগণের বিবেককে দাবিয়ে রাখতে।

তিনি বলেন, পেশাজীবী পরিষদের আন্দোলন কোনো আপসের নয়। এজন্য সরকার মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, যেসব পেশাজীবী ঘরে বসে মনে করেন সরকার পড়ে যাবে, তারপর তারা ঘর থেকে বের হবেন তারা কিন্তু রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থ থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

এমএইচএন/এসকেডি