তিন মাসের একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘পরিবর্তনের জন্য কমপক্ষে দুই বছরের একটা জাতীয় সরকার প্রয়োজন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মাধ্যমে এটা হতে হবে।’

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণ-অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

আমলাদের দিয়ে সুশাসন কায়েম করা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই আমলাদের যারাই আপনার সঙ্গে আজকে মিনমিন করছে, তারাই একটা সময় আপনাকে বেঁধে নিয়ে আসবে।’

দেশের গণতন্ত্রকে উদ্ধারের ব্যাপারে আমেরিকা একটা শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। আর এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ। সত্যি কথা বলতে কি, বিরোধী দল এই ১২ বছরে সরকারের ওপর কোনো শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারেনি। এবার এই এক ধাক্কায় তারা কোথায় গেছে এবং তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দোষ দিয়ে লাভ নেই উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশে এতদিন যা ঘটেছে, তারা সেগুলোই সবার কাছে তুলে ধরেছে। আর সরকারই এর জন্য দায়ী। শুধু র‍্যাবের মানসম্মান নষ্ট করেনি বরং শান্তি মিশনে এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে এই সরকার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমেরিকা মানে শুধু আমেরিকা না, তাদের বড় প্রভাব বলয় আছে। আজকে যদি শান্তিরক্ষা মিশনেও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমার দেশ আয় থেকে বঞ্চিত হবে। পশ্চিমা দেশে যদি আমাদের রফতানি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের পোশাক খাত মুখ থুবড়ে পড়বে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

আলোচনা সভায় গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসাবো, এটা চাই না। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন চাই, স্বাধীন জুডিশিয়ারি চাই ও স্বাধীন গণমাধ্যম চাই।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

এএইচআর/ওএফ