তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আসলে বিএনপি চায় দেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়েও নির্বাচন কমিশন আইন করা হলে তারা খুশি হবে না। বিএনপি তখনই খুশি হবে যখন মির্জা ফখরুল সাহেবকে একটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব দেওয়া হবে।  

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
               
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। যদিও ৫০ বছরে সেই আইন হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি সংলাপে বসেছিলেন। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের কথা বলেছেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যেমন- বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ বেশ কয়েকজন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইন করার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন, আইনের একটি রূপরেখাও তারা হস্তান্তর করেছিলেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, এখন আইন করতে গেলে খুব তাড়াহুড়ো হবে। তখন তারা এই পরামর্শও দিয়েছিলেন আইন করতে তাড়াহুড়ো হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। 

তিনি বলেন, তখন যারা (সুশীল সমাজের প্রতিনিধি) অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন করার কথা বলেছিলেন তারাই এখন জুম মিটিং করে বলেছেন তাড়াহুড়া করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছিলেন দুদিনেও অনেক আইন হয়েছে দেশে, চাইলে একদিনেও পারা যায়, এ কথাও তাদের কেউ কেউ বলেছিলেন। আজকে যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তখন তারা আবার নিজেরা যে অবস্থানে ছিলেন, নিজেরা যে দাবি দিয়েছিলেন, সেটার বিপরীতে কথা বলা শুরু করেছেন। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাহলে তাদের আসল উদ্দেশ্য কী? তাদের উদ্দেশ্য আসলে সৎ নয়। পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন তারা অন্য কথা বলছেন, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়, এটাই স্পষ্ট। তারা আসলে পানি ঘোলা করতে চান। বিএনপিও একই কথা বলেছিল। দুদিনেও আইন করা যায়। এখন আইন করার উদ্যোগ নেওয়ার পর তারা এর বিরোধিতা করেছে।

পিএসডি/আইএসএইচ