ডা. আলমগীর প্রবীণদের জন্য হাসপাতাল করতে অনুপ্রাণিত করেন
ডা. খন্দকার আলমগীরের স্মৃতিচারণ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, যারাই আমেরিকায় গিয়েছেন সামান্য পরিমাণ পরিচয় থাকলে তারা নির্ভাবনায় আলমগীর ভাইয়ের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন। সবসময় তিনি প্রবাসে থাকলেও এ দেশের জন্য তার টান ছিল। তিনি প্রবীণদের জন্য হাসপাতাল করতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। আমি বললাম ঢাকায় জায়গা কোথায় পাব? তিনি বললেন, তুমি আমার জায়গাটা দিয়ে শুরু করো। তিনি তখন মিরপুরে তার জায়গাটা প্রবীণদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করতেন দান করে দেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর এটিএম হায়দার মিলনায়তনে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ডা. খন্দকার মো. আলমগীরের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রয়াত ডা. খন্দকার মো. আলমগীরের স্ত্রী আকতার জাহান আলমগীর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে অনুদান হিসেবে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রবীণ আবাসন মিরপুর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল নিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা যে প্রবীণ আবাসন করেছি, সেটা অত্যাধুনিক। এখানে দুটো জিনিস আছে। যাদের ছেলে-মেয়ে বাইরে থাকে তাদের দেখাশোনা করার জন্য ব্যবস্থা আছে। সেটা ধনী-গরীব উভয় হতে পারে। এখানে ওয়ার্ডও আছে আবার আলাদা রুমও আছে। এদের দেখার জন্য অনেক বেশি নার্সের প্রয়োজন। সেই ব্যবস্থাও আছে। এখানে সুইমিংপুলও আছে। এটা শেষ হতে আরও দুএক মাসের মতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, একজন বৃদ্ধ অসুস্থ হলে কোথায় যাবেন? সেজন্য এখানে সব প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা একটি সর্বাধুনিক প্রচেষ্টা। এখন আউটডোর ও ফিজিওথেরাপি শুরু হয়েছে। কিন্তু বয়োবৃদ্ধ রোগী রাখা সেটা আমরা আগামী ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস থেকে শুরু করতে পারব। আলমগীর ভাই বাইরে থেকেও যে আমাদের প্রবীণদের কথা চিন্তা করেছেন সেজন্য আজ আমরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— ডা. আলমগীরের সহধর্মিণী আকতার জাহান আলমগীর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ