ডা. জাফরুল্লাহ উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছেন : ছাত্র ইউনিয়ন
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সময়ে তিনি (আব্দুল কাদের) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সদস্য ছিলেন। এ রকম একজন ব্যক্তির বিচার না করে শুধু জোয়ারের পানিতে নৌকা ভাসিয়ে ফাঁসি দেওয়া ঠিক হয়নি।’
এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার সঠিক হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও ইতিহাস বিকৃতি দাবি করে তার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির সামনে মিথ্যাচার করছেন তা দুঃখজনক। আমরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা মনে করছি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিই, আপনার বয়স হয়েছে, আপনি বিশ্রামে থাকুন। কাদের মোল্লা ও দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মতো স্বীকৃত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অনভিপ্রেত।
১৯৭১ সালে কাদের মোল্লা ছাত্র ইউনিয়ন করতেন এই বক্তব্য অসত্য ও ইতিহাস বিকৃতি উল্লেখ করে তারা বলেন, কাদের মোল্লা ১৯৬৮ সালে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ করতেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এমএসসিতে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ছাত্র সংঘের শহিদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাই কাদের মোল্লা ১৯৭১ সালে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন মর্মে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য ইতিহাস বিকৃতির সামিল। তার বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এইচআর/এসকেডি