নিত্যপণ্যের দাম কমানো-বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবি
এলপিজি, অটো গ্যাস, চাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো এবং বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে বাসদ ঢাকা মহানগর শাখা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ ঢাকা নগর সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, সদস্য আহসান হাবিব বুলবুল ও খালেকুজ্জামান লিপন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এলপিজি ও অটো গ্যাসের মূল্য আবারও বাড়ানো হয়েছে। এলপিজি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ৬২ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছে এবং গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারা বলেন, এলপিজি গ্যাস দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তিতে ৯০ শতাংশ কেনার প্রস্তাব থাকলেও বাস্তবে স্পট মার্কেট থেকে ৭০ শতাংশ এলপিজি গ্যাস কেনা হচ্ছে। জ্বালানির দাম সব সময়ই ওঠা-নামা করে। ফলে মজুত বাড়ানোর উদ্যোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তি থেকে কেনা না হলে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা জনগণের কাঁধে পড়বে। অনুসন্ধান ও উত্তোলন না করে বেসরকারি ব্যক্তিদের মুনাফার স্বার্থে এলপিজি গ্যাস ও বিদেশি গ্যাসের ওপর দেশকে নির্ভরশীল করার চক্রান্ত চলছে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম গত এক বছরে বেড়েছে ৫০ ভাগ থেকে ৮০ ভাগ। দেশের ১৭ কোটি মানুষ এখন বাজার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। আর এ সিন্ডিকেটের পাহারাদারের ভূমিকায় রয়েছে বর্তমান বিনা ভোটের স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী সরকার।
করোনায় দেশের জনগণের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, আয় কমেছে, অনেকে চাকরি হারিয়েছে- উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এরইমধ্যে ডিজেল, কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির ফলে বাসভাড়া বেড়েছে, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বহুগুণে বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনজীবন দুর্বিসহ সংকটে পড়বে।
বক্তারা বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে এলপিজি গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানো, গ্রাম-শহরে ওএমএস এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে তোপখানা রোড, পল্টন, বিজয় নগর, সেগুনবাগিচা এলাকা ঘুরে তোপখানা রোডে বাসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
আরএইচ