সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বসুরহাট পৌর হলরুমে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। 

এ সময় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জে সুষ্ঠু ভোট হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের নামে প্রতারণা হয়েছে। আমার পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। চরফকিরা ইউনিয়নে আগের দিন রাতে ভোট নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরের দিন এটা ছিল আইওয়াশ। আগের দিন রাতে প্রশাসন কীভাবে ভোট নেয় আমি দেখছি। কোম্পানীগঞ্জে প্রতীকবিহীন ইউপি নির্বাচন হওয়াটাও একটা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। 

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জের ভোটারদের লাল কার্ড দেখিয়েছেন। আপনাকে লাল কার্ড দেখানো হবে। আপনি স্মরণ রাখবেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি আপনার স্ত্রীর কথায় কোম্পানীগঞ্জের এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। 

কাদের মির্জা আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মূলত তার ভাগনেদের জিতানোর জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভোটের আগের দিন আমার কাছে খবর এলো তিন ভাগনেকে জিতাতে হবে। এটা ওনার নির্দেশ। ডিসি-এসপিকে বলে দেওয়া হয়েছে। তারা সে মোতাবেক কাজ করছে। আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে বিষয়টা জানানো হয়েছে। ওনার নাকি সিদ্ধান্ত জামায়াতের তিন প্রার্থীকে হারাতে হবে। এ দুটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রশাসন নির্বাচন শুরু করে।  

সভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সপ্তম ধাপের আট ইউপিতে দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনটিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত, চারটিতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল এবং একটিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়।

হাসিব আল আমিন/এইচকে