আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসা দিবস বলে গোটা পৃথিবীতেই এ তারিখটা তরুণ প্রজন্মের কাছে অন্য রকম। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই এই দিনটিকে পালন করেন স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে। 

১৯৮২ সালে বাংলাদেশে তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।  

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছাত্র জমায়েত ডাকে। ওই জমায়েতে পুলিশের গুলিতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।  

এর প্রতিবাদে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করা হয়। এরপর থেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। 

এ আন্দোলনে পধ ধরেই ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটে। ৬ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। 

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস জাতীয়ভাবে স্বীকৃত কোনো দিবস না হলেও এরশাদ পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে দিবসটি বিদ্যমান। অনেকেরই অভিযোগ, মূলত ভালোবাসার দিবসের আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়ার কারণে তাৎপর্য হারিয়েঠে দিবসটি।  

এদিকে ভালোবাসার দিবসের সঙ্গে গত দু’বছর ১৪ ফেব্রুয়ারিতে যুক্ত হয়েছে  বাংলা ১ ফাল্গুন; বসন্ত উৎসব। আগে প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত উৎসব পালিত হত। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক দিবসগুলোকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সমন্বয় করার জন্য বাংলা ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করা হয় দু’বছর আগে। আর তাতেই বদলে যায় বসন্ত উৎসবের তারিখ। ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম দিনটি চলে যায় ১৪ ফেব্রুয়ারিতে।  

এনএফ