আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ফোনালাপটিকে ‘নির্দোষ ফোনালাপ’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু আইনমন্ত্রী ফোনালাপটির সত্যতা স্বীকার করেছেন, এই আলাপের বিষয়বস্তুগুলো অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা এবং ফোনালাপে আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত, জনগণের কাছে সত্য তুলে ধরা এবং জবাবদিহি করা অত্যন্ত জরুরি।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। গত সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি। 

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মির্জা ফখরুল। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, আইনমন্ত্রী ও উপদেষ্টার ফোনালাপে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। আলোচ্য বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও সরকারের আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নাম উচ্চারণ, উচ্চ আদালতের দুই জন বিচারপতির নাম উল্লেখ ও এর প্রভাব এবং সচিবালয়ের প্রশাসনের স্বাভাবিক কার্যকলাপে অনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তার। এ বিষয়গুলো পর্যালোচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার এবং হস্তক্ষেপের সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়। অবিলম্বে এই ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বিষয়ে শুধু তদন্ত নয় ফোনালাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে অতীতে ফাঁস হওয়া সব ফোনালাপ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা, বিভিন্নভাবে নিয়ে যাওয়া ও একটা আইওয়াশ দেওয়া। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার গুলোর নির্বাচনে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি তারই প্রেক্ষাপটে মনে করে এখন অনুসন্ধান কমিটিতে নাম প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশন গঠন একেবারেই অর্থহীন। বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার নীল নকশার অংশ হিসেবে পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারি তৎপরতা সেই চক্রান্তের অংশ।

এএইচআর/আইএসএইচ