বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়াদিল্লিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (৭ মার্চ) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। 

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দূতাবাসের হাই কমিশনারের নেতৃত্বে এ সময়ে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
পরে দূতাবাসের ‘বঙ্গবন্ধু হল’ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম আজাদ ও মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর। 

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনায় হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিলে শোষণ, নির্যাতন, অত্যাচার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণে তিনি শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রতিরোধ সংগ্রামের নির্দেশনাই দেননি বরং এটি ছিলে বিশ্ব কূটনীতিতে এক ঐতিহাসিক ভাষণ। সারা বিশ্বে বিশ্বমানবতার পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ছিলো সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ।

পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সভাশেষে দিবসটি উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

আইএসএইচ