মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতে দিবসের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।  

এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত  বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার পরে এ দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। 

এছাড়া ২৬-২৭ মার্চ‘বাংলাদেশ মেলা’র আয়োজনও করা হয়। আর সর্বশেষ ৩১ মার্চ স্থানীয় হোটেল শেরাটনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা  অনুষ্ঠানে সিনেটর, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মেক্সিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেম্বার অব চেম্বার অব ডেপুটিস এবং মেক্সিকো-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিজ রোজালিন্ডা ডমিনগুয়েজ ফ্লোরেস।  তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং লিঙ্গ ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশা ব্যক্ত করেন। 

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির জন্য তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র আগতদের সামনে তুলে ধরেন।  

অনুষ্ঠানের শেষাংশে বাংলাদেশের প্রখ্যাত গায়িকা ফাহমিদা নবীর মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি চিত্রকর্ম, রপ্তানিযোগ্য পণ্য এবং হস্তশিল্প প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয় এবং আগতদের মাঝে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের লোগো সম্বলিত উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের মেক্সিকান শেফ দ্বারা প্রস্তুতকৃত ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের  মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

এনএফ