কালজয়ী একুশের গানের রচয়িতা, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কানাডায় বসবাসরত প্রবাসীরা।

আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আপসহীন গাফ্‌ফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং তার নীতি-চেতনা-আদর্শকে হৃদয় ধারণের সংকল্প ব্যক্ত করেছেন শোকার্ত প্রবাসীরা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বাঙালি জাতি একজন প্রগতিশীল-সৃজনশীল লেখক-বুদ্ধিজীবীকে হারাল, যে ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয়।

কানাডার নতুনদেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, খ্যাতিমান সাংবাদিক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশ বিরোধীদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। প্রবাসে থেকেও নিজের লেখনির মাধ্যমে তিনি মুক্তবুদ্ধি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।

ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ বাতেন বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষকে হারাল। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, নিপীড়িতদের আশ্রয়স্থল কলম সৈনিক গাফ্‌ফার চৌধুরীর চিরবিদায় জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রশ্নে এমন নির্ভীক, নিঃস্বার্থ, স্পষ্টবাদী লেখক ও সময়ের শ্রেষ্ঠ কিংবদন্তি আপসহীন কলম সৈনিকের জীবনাবসান বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শাসক কূলের অনিয়ম, অনাচারে পরম ভালোবাসার দল এবং সরকারকেও তিনি ছাড় দেননি।

অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদ বলেন, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে সব সময় তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। বাংলাদেশের জন্য তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। বিশেষ করে কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালি জাতির মাঝে।

সিবিএনএ২৪’র প্রধান সম্পাদক সাদেরা সুজন বলেন, তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। তার মৃত্যু বাঙালি জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

ক্যলগেরির প্রবাসী লেখক বায়াজিদ গালিব বলেন, কালের সাক্ষী আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর চিরবিদায় বেদনাদায়ক। তার রচিত একুশে ফেব্রুয়ারির কালজয়ী গানের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালি হৃদয়ে।

সিলেট অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত বলেন, একে একে আমরা সব গুরুজনকে হারাচ্ছি। তাদের স্থান দখলকারী উত্তরসূরির অভাব থেকেই যাবে। মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কিরণ বণিক শংকর বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বাঁক বদলের সাক্ষী গাফ্‌ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

কানাডার আলবার্টার প্রথম অনলাইন পোর্টাল প্রবাস বাংলা ভয়েস’র প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল বলেন, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। আমাদের মানতেই হবে। মরহুম আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকবেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এসএসএইচ