বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ভারতীয় দূতাবাস এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (জিটিআইসিসি) সম্মিলিত আয়োজনে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী।  

গেল ১২মে আয়োজিত অনুষ্ঠান মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত ছিল।
 
রবীন্দ্র-নজরুল গবেষক নির্মল কান্তি ভট্টাচার্য কর্তৃক ‘নান্দনিকতায় ভারত-বাংলাদেশ পেরিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল’ শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই জন্মবার্ষিকীর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।  

মেক্সিকোতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ড. পঙ্কজ শর্মা ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম রবীন্দ্র-নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুভ সূচনা করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রদূত তাদের বক্তব্যে বাঙালি সংস্কৃতির চিন্তা-চেতনা-মনন ও দর্শনে রবীন্দ্র -নজরুলের লেখনির অবদানসহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের লেখনীর প্রভাব তুলে ধরেন। 

সাংস্কৃতিক পর্বে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের নবীন গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন সাথীর রবীন্দ্র সঙ্গীত উপস্থাপনা আমন্ত্রিতদের বিমোহিত করে। তাছাড়া, আর্নেস্ট দেলা তেজা এবং ভেরণিকা- দুইজন মেক্সিকান নৃত্যশিল্পী ‘দূর দ্বীপবাসীনি’ ও ‘রাঙামাটির পথে  লো’ দুটি নজরুল সংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে। 

রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর সর্বশেষ পর্বটি ২৬ মে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের নজরুল সঙ্গীত পরিবেশনা দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। ভারতের সোমা গিরির নৃত্য, প্রকৃতি দত্ত ও দিশারী চক্রবর্তীর সংগীত মূর্ছনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। 

এনএফ