চীনের বাজারে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ‘বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রচার’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এবং উভয় দেশের ব্যবসায়িক সংস্থার সহযোগিতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১৫০ জন চীনা আমদানিকারক, বাংলাদেশি রপ্তানিকারক, ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞ এবং কর্মকর্তারা ওয়েবিনারে যোগ দেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, চায়না ন্যাশনাল লাইট ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং চায়না লেদার ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান লি ইউঝং, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

হেবেই চেম্বার অব ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং সিসিপিআইটি হেবেই প্রাদেশিক কমিটির প্রতিনিধি ঝাং চংআং, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল মামুন মৃধাসহ আরও অনেকে।

রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান ওয়েবিনারে বলেন, চামড়া বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিল্পগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চামড়া উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বব্যাপী চামড়ার চাহিদার ১০ শতাংশ রপ্তানি করে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হয়ে উঠেছে। দুই দেশের চামড়া শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়ন টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহামারির প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীন-বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হতে থাকবে। বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে চীনা ব্যবসায়ীদের এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার দেওয়া হবে।

সম্প্রতি, লেদার ও লেদার গুডসকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্যকে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেয় এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। নতুন করে ৩৮৩টি আইটেম এ তালিকায় যোগ হয়েছে। এ নিয়ে চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৯৩০টি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।

এমএইচএস