দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের যশোর, খুলনা, বরিশালসহ বেশ কয়েকটি জেলার কুয়েত প্রবাসীরা পদ্মা সেতু হওয়ায় খুব উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল এই অঞ্চলের মানুষের। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রবাসে কর্মজীবন শেষ দুই মাস অথবা তিন মাসের ছুটিতে গিয়ে লঞ্চ, ফেরি পারাপারে সময় ও অর্থ দুটিই নষ্ট হতো। পদ্মা সেতু হওয়াতে তাদের সময় এবং অর্থ অপচয় কমবে বলে প্রত্যাশা দক্ষিণ অঞ্চলের প্রবাসীদের।

এই অঞ্চলের প্রবাসীরা বিমান থেকে নেমে বাস যোগে পদ্মা সেতু দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছাতে পারবে নিজ গন্তব্য ও প্রিয়জনের কাছে। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে মনে করেন ওই অঞ্চলের প্রবাসীরা।

বরিশাল অঞ্চলের কুয়েত প্রবাসী কোরবান আলী বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের একটা স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে, খুব ভালো লাগছে। আগে আমাদের ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে ফেরি, লঞ্চে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতো এবং হয়রানির শিকার হতে হতো। পদ্মা সেতু হওয়াতে সেটা থেকে মুক্তি পাব। যেহেতু আমাদের নিজ দেশের জনগণের টাকা পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে সেই হিসেবে টোল নির্ধারণ করা হলে সেটা বেশি। সবাই যাতে সেটা বহন করতে পারে এজন্য টোলের পরিমাণটা আরও কমানো উচিত।

বাগেরহাট জেলার কুয়েত প্রবাসী শাহ নেওয়াজ নজরুল বলেন, আমরা ছুটিতে বাড়ি গেলে ঢাকা থেকে ফেরিঘাটের সমস্যার কারণে এক থেকে দুই দিন সময় লাগত। অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন পদ্মা সেতু হওয়াতে সেটা লাঘব হবে। আমারা খুলনা, বাগেরহাটসহ অন্যান্য জেলার মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারব।

এসএসএইচ