দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাস তিনটি ভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। 

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দক্ষিণ কোরিয়ার আনসান সিটির শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন তিনি। পরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক দূরত্ব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে শুধুমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। করোনা সচেতনতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে প্রভাতফেরি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। আলোচকরা ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তারা মাতৃভাষার মর্যাদা ও সম্মান সমুন্নত রাখতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র  প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে নীরবতা পালন ও ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। 

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা ‘বাংলা’-এর মর্যাদা রক্ষায় যেসব ভাষা শহীদ প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, তার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। 

এ বছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষা ও সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য বহুভাষাবাদকে উৎসাহিত করা’-কে উপজীব্য করে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগসমূহ তুলে ধরেন। 

এইচকে