বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস। স্থানীয় সময় শনিবার (২ জুলাই) বিকেলে মিশিগানের বাংলাটাউন খ্যাত হ্যামট্রামিক শহরের গেইট অব কলম্বাস হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের দিক নির্দেশনায় মিশিগান মহানগর আওয়ামী লীগ সভার আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনোমিক মিনিস্টার মো. মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সোনালী এক্সচেঞ্জের সিও দেবাশ্রী মিত্র।

এতে সভাপতিত্ব করেন মিশিগান মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস শাকুর খান মাখন। সঞ্চালনা করেন মিশিগান মহানগর আওয়াম লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোতালিব।

সভায় বক্তব্য রাখেন- মিশিগান বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ সায়েদুল হক, মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমদ চান, সেক্রেটারি আবু আহমদ মুছা, মিশিগান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঈন দীপু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাব্বি আলম, আব্দুল আহাদ, মিশিগান মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজান মিয়া জসিম,মৃদুল কান্তি সরকার, মোহাম্মদ সোলেমান খান।

আরও বক্তব্য রাখেন- বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আজমল হোসেন, গোপালগঞ্জ সমিতির সভাপতি হেলাল খান, মিশিগান স্টেট যুবলীগের সভাপতি আজিজ সুমন, সেক্রেটারি শেখ বদরুদ্দোজা জুনেদ, বাংলা সংবাদের সম্পাদক ইকবাল ফেরদৌস, সাংবাদিক কামরুজ্জামান হেলাল, ফারজানা চৌধুরী, আশিকুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দূতাবাসের ইকোনোমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈধ উপায়ে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর সরকার নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে।

প্রবাসী বক্তারা বলেন, অন্যান্য ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে সোনালী এক্সচেঞ্জে ডলারের রেট কম। হুন্ডির দৌরাত্ম্য রুখতে হলে সোনালী এক্সচেঞ্জে ডলারের রেট বাড়াতে হবে। নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার দাবিও করেন তারা।

এছাড়া, মিশিগানে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবরে লিখিত দাবি জানিয়েছে মিশিগান আওয়ামী লীগ নেতারা। সভা শেষে তারা দূতাবাসের ইকোনোমিক মিনিস্টারের কাছে এই লিখিত দরখাস্ত তুলে দেন।

এমএইচএস