সুইস পোস্টের ই-ভোট সিস্টেমের নিরাপত্তা ত্রুটি দূর করার লক্ষ্যে নৈতিক হ্যাকারদের আক্রমণের জন্য সিস্টেমটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য উইন্ডোটি ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এসময়ে হ্যাকাররা বাস্তব অবস্থার অধীনে সোর্স কোডে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে।

হ্যাকারদের নমুনা ভোটিং কার্ড দেওয়া হবে, যারা সিস্টেমে লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ করার সময় একটি ব্যালট কাস্ট করার কাজটি অনুকরণ করবে। উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলো আবিষ্কারের জন্য ৩০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কারের প্রস্তাব রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডাক পরিষেবা দ্বারা তৈরি করা বর্তমান সিস্টেমটি গত বছর থেকে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা এবং যাচাই করা হয়েছে বলে সুইস পোস্ট জানিয়েছে। প্রথমবার এটি এমন একটি পাবলিক ইনট্রুশন পরীক্ষায় নিজেকে উন্মুক্ত করছে। 

চলতি বছরের এপ্রিলে ফেডারেল চ্যান্সেলারি, যা সুইস সরকারের পক্ষে ই-ভোটিং তত্ত্বাবধান করে, বলেছিল যে ২০১৯ সাল থেকে সিস্টেমটি উল্লেখযোগ্যভাবে আপডেট করা হয়েছে। কিন্তু তখন গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি আবিষ্কারের কারণে আগের সংস্করণটি বাতিল করা হয়। 

কয়েক দশকের ট্রায়াল এবং উদ্যোগ সত্ত্বেও সুইজারল্যান্ডে ব্যবহারের জন্য বর্তমানে কোনো ই-ভোটিং সিস্টেম কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সুইস পোস্টের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি খরচের সমস্যার কারণে ২০১৮ সালে ক্যান্টন জেনেভা দ্বারা আরেকটি প্রোটোটাইপ সিস্টেম বাদ দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ পূর্বাভাস দিয়েছে যে ক্যান্টনগুলো আবারও ভোটের জন্য একটি ই-ভোটিং চ্যানেল ব্যবহার করার জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবে, যদি সুইস পোস্ট সিস্টেম যথেষ্ট নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এখন পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ২৬ ক্যান্টনের মধ্যে মাত্র তিনটি আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুইজারল্যান্ডের অনলাইন ভোটিং সিস্টেমের এখনও অনেক প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে।

এসএসএইচ