ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ

কানাডায় কর্মরত বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মোর্শেদকে ‘ফেলো’ হিসেবে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অণুজীব বিজ্ঞান গবেষণা এবং শিক্ষায় অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ড. মোর্শেদকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। 

‘এক্সপেট্রিয়েট ফেলো’ ক্যাটাগরিতে তাকে মনোনীত করা হয়। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মরত ১৪ জন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে এই মর্যাদায় ভূষিত করেছে বিজ্ঞান একাডেমি। তাদের একজন ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মোর্শেদ বর্তমানে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্যাথলজি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। একই সঙ্গে তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির জেনেটিক ও ইমার্জিং প্যাথোজেন প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কানাডায় পেশাগত জীবন শুরুর আগে ড. মোর্শেদ ঢাকার আইসিডিডিআরবি, শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

অণুজীব বিজ্ঞানের গবেষণা এবং শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় কানাডায়ও তিনি বিভিন্ন সময় সম্মানিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ‘এক্সিলেন্স ইন ক্লিনিক্যাল সার্ভিস এওয়ার্ড‘ পান। একই বছর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কানাডা থেকে বাছাই করা ‘দ্যা আরবিসি টপ ২৫ ইমিগ্রেন্ট এওয়ার্ড’ পান। ২০১৯ সালে কানাডার কলেজ অব মাইক্রোবায়োলজি তাকে ‘ডিসটিঙ্গুইশড মাইক্রো বায়োলোজিস্ট এওয়ার্ড’ দেয়। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হলে ড. মোর্শেদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বিজ্ঞানীদের নিজ দেশে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিজ্ঞান একাডেমির উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং তাকে মনোনীত করায় ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো হিসেবে মনোনীত হওয়ায় দেশের বিজ্ঞান চর্চায় আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। 

তিনি বলেন, কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগসূত্র ঘটিয়ে দেয়ার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন।

ওএফ