চীনের চিয়াংশি প্রদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নর্থ ইস্ট এশিয়ান ইয়ুথ ক্যাম্প অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সাংস্কৃতিক দূত ও শক্তি থেকে তারুণ্য’।

তিন দিনব্যাপী ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর ইয়ুথ ক্যাম্পটি চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশন ও এসকে গ্রুপের যৌথ স্পন্সরে, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফিস অব চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপলস গভর্নমেন্ট ও চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লি বিন ও এসকে গ্রুপের চেয়ারম্যান কুই তাইইউয়ান। সমাপনী অনুষ্ঠানে ইয়ুথ ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক ঝাও হুই, চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ফ্যাং শিনওয়েন, এসকে গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট থিয়ান ফুশিসহ অন্যান্যরা।

লি বিন বলেন, সভ্যতাগুলোকে বিনিময়ের মাধ্যমে সংহত ও একীকরণের মাধ্যমে অগ্রগতি করতে হবে। এই ক্যাম্পে তরুণ বন্ধুরা প্রাণবন্ত ও চীন সম্পর্কে বাস্তব কিছু জানতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। গভীর আদান-প্রদান, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ও বোঝাপড়া ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকেরই নতুন বিষয় জানার সুযোগ রয়েছে। আমি তরুণ বন্ধুদের স্বাগত জানাই চীনের চারপাশ ঘুরে দেখার জন্য। সাংস্কৃতিক বার্তাবাহক ও বন্ধুত্বের সেতু হয়ে চীন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের প্রচারের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বন্ধন বৃদ্ধি করবে।

শিক্ষার্থীরা নানছাং লিনেন টি রিসার্চ পার্ক, ভিআর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, নানছাং পোরসেলিন প্লেট আর্ট মিউজিয়াম, নানছাং কম্প্রিহেনসিভ বন্ডেড জোন, নানচাং জাপান-চায়না তাকামাতসু ফ্রেন্ডশিপ হল এবং অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করেন। এর ফলে ঐতিহ্যগত চীনা সংস্কৃতির অনন্য আকর্ষণ ও চিয়াংশির উন্মুক্ত অর্থনীতির শক্তিশালী চালিকা শক্তি দেখার সুযোগ হয়। আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কৌশল নিজ দেশে প্রয়োগ করতে পারে।

অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তৌহিদুল আনাম রুহান বলেন, এই ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমি নানছাং শহরের পাশাপাশি চীন সম্পর্কে আরও অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছি। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শিখছে। অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কৌশল ভবিষ্যতে আমরা নিজ দেশে কাজে লাগাতে পারব।

ইয়ুথ ক্যাম্পে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, রাশিয়া, ইয়ামেন, পাকিস্তান, কাজাখিস্তান, জাম্বিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও চীন থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

নর্থইস্ট এশিয়ান ইয়ুথ ক্যাম্প অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা প্রক্রিয়া, যা চীনের সং ছিং লিং ফাউন্ডেশন ও এসকে গ্রুপ যৌথভাবে আয়োজন করে। একটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ার তরুণদের সচেতনতা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ানো ও তাদের নিজস্ব উন্নয়ন প্রচারের জন্য নিয়মিত যুববিষয়ক সেমিনার আয়োজন করে।

ওএফ