সাংবাদিকদের বলা হয় একটি দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, বৈশ্বিক অর্থনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন এ পেশায় কর্মরতরা। আর তাই ইউরোপের সাংবাদিকদের সম্মান ও উৎসাহের জন্য দেওয়া হয় লরেঞ্জো নাতালি মিডিয়া পুরস্কার।

ইউরোপিয়ান কমিশনের ডিরেক্টরেট ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ (ডিজি-আইএনটিপিএ) ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। সংবাদের মাধ্যমে যারা অসমতা, দারিদ্র্যতা, শিক্ষা, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য, আবহাওয়া সংক্রান্ত, ডিজিটাল, চাকরি এবং কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নয়ন, অভিবাসন, স্বাস্থ্য, শান্তি, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে আনেন তাদেরই এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

এ পুরস্কারের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে। এগুলো হলো- গ্র্যান্ড প্রাইজ : উন্নয়ন এবং সহযোগিতা নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম অংশীদার দেশের মিডিয়া ভিত্তিক প্রকাশিত প্রতিবেদন; ইউরোপ প্রাইজ : ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভিত্তিক মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদন (যুক্তরাজ্য বাদে); সেরা উদীয়মান সাংবাদিক পুরস্কার : ৩০ বছরের কম বয়সী সাংবাদিকদের জন্য যাদের রিপোর্ট ইউনিয়ন ভিত্তিক মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল বা উন্নয়ন এবং সহযোগিতার বিষয়ে এর অংশীদার দেশগুলোর একটিতে।

গত ১ মার্চ থেকে আবেদন শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সাংবাদিকরা অনলাইনের মাধ্যমে https://form.jotform.com/210472443345349 ফরম পূরণ করে পুরস্কার আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ১০ হাজার ইউরো পুরস্কার পাবেন এবং উদীয়মান সেরা সাংবাদিক ক্যাটাগরির বিজয়ীকে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

লরেঞ্জো নাতালির জন্ম ১৯২২ সালের ২ অক্টোবর। তিনি ইতালির একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কমিশনার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র মানবাধিকার ও উন্নয়নের কট্টর একজন রক্ষক ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। লরেঞ্জো ১৯৮৯ সালের ২৯ আগস্ট ইতালির রোম শহরে মারা যান। তার কর্মকাণ্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর লরেঞ্জো নাতালি মিডিয়া পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এমএইচএস