মানব পাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলার তদন্তে ডিআইজি মো. মাহবুব আলমের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে দলটি দেশটিতে পৌঁছানোর পর ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ছয় মাসে অপহৃত হন চার হাজারের বেশি মানুষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আছে ২০ জন। এ ছাড়া অনেক প্রবাসী বিভিন্ন ধরনের অপরাধী চক্রের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। দেশটিতে অবস্থানরত ভুক্তভোগী প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ পুলিশ।

দেশটিতে সফর করা পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা হলেন আশরাফ হোসেন ডিসি (ডিবি) আজহারুল ইসলাম মুকুল, অ্যাডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কামরুজ্জামান সদস্য (ডিবি) মামুনুর রশিদ (ম্যাজিস্ট্রেট) ঢাকা মেট্রোপলিটন। 

প্রতিনিধিদলটি প্রিটোরিয়া, ডারবান ও কেপটাউনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানতে কয়েকটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

হাইকমিশনার নূরী হেলাল সাইফুর রহমানের পরিচালনায় প্রিটোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ভুক্তভোগী প্রবাসীদের কথা শুনেন। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

ডিআইজি মো. মাহবুব আলম বলেন, আমরা তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। আইনগত পরামর্শ দিয়েছি। বাংলাদেশে তারা কীভাবে কাজ করতে পারে, এদেশে কীভাবে চলতে পারে সেগুলোর ব্যবস্থা আমরা করেছি।

সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি সহায়তায় দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ করার দাবি জানান। এ ছাড়াও বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করতে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।

এমএ