কুয়েতে জেলহত্যা দিবস পালিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কুয়েত সিটির ওতানিয়া হলিডে হোটেলে এ আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে প্রধান অতিথির হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোরশেদ আলম বাদল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাই ভূঁইয়া, প্রধান বক্তা আশরাক আলী ফেরদৌস,
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মুরাদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, নাসির উদ্দিন খোকন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান মিজান, আব্দুল আজিজ তাজউদ্দিন, ফয়ছল, আলম, নোমান আহমেদ, আহাদ আম্বিয়া, খোকন, প্রদীপ সূএধর, প্রজিত, পাল, উদ্দিন তালুকদার, আহমেদ, সৈয়দ, সয়ফুল, মিয়াসহ আরও অনেকে।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলের ভেতরে হত্যা করা হয় বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য। যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করছে তারাই জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর এবং ২০০১ সালের ২১ আগস্ট। এই তিনটি দিনই একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিভিন্ন সময়ে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান রূপে তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বনির্ভর গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব কুয়েতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক মুরাদুল হক চৌধুরী বলেন, আগামী ৫ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
এমএ