অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) দেশের বাইরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন নিদিষ্ট শাখা অথবা এজেন্ট প্রতিনিধির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। তবে কুয়েতসহ অনেক দেশেই এবিবি ও বাফেদার কোন শাখা এবং এজেন্ট প্রতিনিধি নেই। যার কারণে রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ দিতে হবে ওই সকল দেশের প্রবাসীদের। 

কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ দিতে হয় ১ কুয়েতি দিনার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩শ টাকার বেশি। বাংলাদেশ থেকে অথবা কুয়েতের স্থানীয় এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো থেকে চার্জ ফ্রির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। সে কারণে রেমিট্যান্স পাঠাতে আসা প্রবাসীদের প্রশ্নের জবাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তাদের। হুন্ডি প্রতিরোধে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো নানা ধরনের অফার ও লটারির আয়োজন করে দেখা যায়। মানি এক্সচেঞ্জগুলো রাখা হয় সপ্তাহে সাতদিন।

বিগত কয়েক বছরে কুয়েত থেকে শুধুমাত্র পাকিস্তানের নাগরিকদের রেমিট্যান্স পাঠাতে কোন চার্জ দিতে হয় না। জানা গেছে, মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে তাদের নির্ধারিত চার্জ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রদান করে থাকে।

কুয়েত, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাংলাদেশি কর্মকর্তা কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আ ক ম আজাদ বলেন, কুয়েতসহ বাইরে যেসব দেশে এবিবি ও বাফেদার শাখা অফিস অথবা এজেন্ট প্রতিনিধি এক্সচেঞ্জ হাউজ নেই, সেই দেশের প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে নিদিষ্ট চার্জ দিতে হবে। যদিও বাংলাদেশ থেকে বা কুয়েতে আমাদের এক্সচেঞ্জ কোম্পানি  থেকে চার্জ লাগবে না—এই  ধরনের কোন নির্দেশনা এখনো পাইনি। এবিবি ও বাফেদাকে বিষয়টি আরও ভালোভাবে পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করি। যাতে করে প্রবাসীরা বিভ্রান্তিতে না পড়েন।

বর্তমানে ডলার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। সে কারণে রেমিট্যান্স বাড়াতে বৈধ উপায়ে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে কোনো চার্জ লাগবে না। এছাড়া দেশের বাইরে ছুটির দিনে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখা ও ৭ নভেম্বর থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ লাগবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিবি ও বাফেদা।

কেএ