অস্ট্রেলিয়ায় অবহেলিত নারীদের নিয়ে কাজ করতে এক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছেন ভিকারুননিসার সাবেক শিক্ষার্থীরা। অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সবকয়টি শহর থেকে সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছে ‘ভিকারুননিসা অ্যালামনাই’ নামের সংগঠনটি। 

সম্প্রতি সিডনির গ্রিনফিল্ড পার্কের এডেসা রিসেপশন হলে সমবেত হন ভিকারুন্নেসা অ্যালামনাই সদস্যরা। জাতীয় সংগীত গেয়ে সদস্যরা শুরু করেন খুনসুটি, আড্ডা আর খোশগল্প। যেন ফিরে যান আগের দিনে। পুরনো বন্ধু, সিনিয়র-জুনিয়র এখানে একে অপরকে আপন করে নেন। এ উপলক্ষে ‘নূন সমীরণ’ নামে একটি ম্যাগাজিনও প্রকাশ করা হয়। 

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জনা জেনিফার বলেন, আমরা স্কুলে যেমন জাতীয় সংগীত গেয়ে দিনটি শুরু করতাম, এখানেও সেটি করেছি। আমাদের শুধু পিকনিক করার উদ্দেশ্য নিয়ে নয় বরং এই প্লাটফর্মটিকে সাজিয়েছি নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে। তাছাড়া ‘ভিকারুননিসা এলামনাই অস্ট্রেলিয়া’ একটি অলাভজনক সংগঠন হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। প্রবাসে এটি গর্ব করার মতো, কারণ আমরা নারীদের জন্য কাজ করছি।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সংগঠনটির আবেগমাখা গলায় গান ধরেন, তাল দেন বাকিরা। কেউবা আবার নৃত্য করেন। পুরনো কিংবা নতুন গানে যেন ছন্দ মেলান কৈশোরের বালিকাদের মতোই।  কেউ কথার ফুলঝুরিতে উপস্থিতিদের মন জুড়িয়ে দেন। অনেকেই আসেন কেবল এই আয়োজনে অংশ নিতে। চিরচেনা স্কুলের অবয়ব নিয়ে হাজির হন উপস্থাপিকারা। 

আয়োজকরা আরও বলেন, আমাদের এখানে বাইরের কেউ ছিল না। আমরা ১৯৭৩ থেকে একদম শেষ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২১ এর ছাত্রীদেরও যুক্ত করতে পেরেছি। একটা পরিবারের মতো হয়েছে। আমারা ডাটাবেইজড করেছি। একহাজার সদস্য নথিভুক্ত হয়েছে। আমাদের এখান থেকে রেডক্রস, সিডিএনআইসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে অর্থ সহয়তা করছি যারা অবহেলিত নারীদের স্বার্থ নিয়ে সরাসরি কাজ করছে। আমরা করোনাকালে অনেককে সহায়তা দিয়েছি।

সাবেকদের পরিবারসহ প্রায় ছয়শত অতিথির এ মিলনমেলাকে স্বার্থক করতে বাংলাদেশী নারীদের জন্য কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

কেএ