সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কনসুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়।

এ সময় আমিরাতে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতা, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা এবং মিশন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর বিশেষ আলোচনা পর্বে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী নেতা, নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোর এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।

দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং স্বাধীনতাবিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক বিভাজন। তাই আমাদের এক হতে হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আপনার পছন্দ অপছন্দের ওপর নির্ভর করে অনেক সময় আপনারা যে কাউকে কোনো প্রমাণ ছাড়া রাজাকার বানিয়ে দেন। কে বিএনপি কে জামায়াত করে এটি যদি আপনার পছন্দের ওপর নির্ভর করে তাহলে আপনি তো দরজা বন্ধ করে দিলেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর দিকে নজর দিয়ে দেখেন। ১৯৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিল। শুধুমাত্র যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, যারা নারীদের ধর্ষণ করেছে তাদের ক্ষমা করেনি।

এ সময় আগত অতিথিরা মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এমএ