পর্তুগালের বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। শিশুদের মাঝে বাংলাদেশের ভাষা, স্বাধীনতার ইতিহাস ও সংস্কৃতি জাগিয়ে তোলার জন্য লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার জন্য দুটি বয়স ভিত্তিক গ্রুপ করা হয়েছে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ‘ক’ গ্রুপ ৬-১২ বছর বয়সীদের জন্য। তাদের চিত্রাঙ্কনের বিষয় বাংলাদেশের জাতীয় ফুল/ জাতীয় পাখি/ জাতীয় স্মৃতিসৌধ/ শহীদ মিনার ইত্যাদি। যার পেপার সাইজ: ৮″× ১১″, মিডিয়া: যেকোনো। আর ‘খ’ গ্রুপের জন্য ১৩-১৮ বছর বয়সীরা। এই গ্রুপের চিত্রাঙ্কনের বিষয় ভাষণদানরত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। যার পেপার সাইজ: ৮″× ১১″, মিডিয়া: যেকোনো।

রচনা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ‘ক’ গ্রুপ ৬-১২ বছর বয়সীদের জন্য। তাদের রচনার বিষয় বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। রচনা বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় লিখা যাবে। অনধিক ২০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। আর ‘খ’ গ্রুপে থাকছে ১৩-১৮ বছর বয়সীরা। তাদের রচনার বিষয় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব। বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় অনধিক ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে।

করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে পর্তুগাল সরকারের বিধিনিষেধ ও নাগরিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা বিবেচনায় জন সমাগম হয় এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান করা হবে না। তাই যেসব শিশু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের নাম, বয়স, ছবি, অভিভাবকের নাম, যোগাযোগের ফোন নম্বর ও ঠিকানা উল্লেখ করে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে চিত্রকর্ম ও প্রতিযোগীর নিজের হাতে লেখা রচনা লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ বা ইমেইলে পাঠাতে হবে। কেউ যদি চাইলে নিজে এসেও দূতাবাসে জমা দিতে পারবেন। জাতীয় শিশু দিবসে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হবে।

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে শিশু দিবস পালন করা হয়।  আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুন। জাপানে শিশু দিবস পালন করা হয় ৫ মে, যুক্তরাষ্ট্রের শিশু দিবস পালন করা হয় জুন মাসের দ্বিতীয় রোববার, তেমনি বাংলাদেশেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে মর্যাদাপূর্ণ করার জন্য শিশু দিবস পালন করা হয় ১৭ মার্চ।

ওএফ