মাসুদুর রহমান মাসুদ

কাতারে এক ওমানের নাগরিকের দোকান থেকে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে দেশে চলে এসেছেন কুমিল্লার মাসুদুর রহমান মাসুদ। টাকা আত্মসাৎ করে তিনি দেশে চলে আসায় বিপদে পড়েছেন ওই দোকানে কর্মরত তিন বাংলাদেশি।

মাসুদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের এলাহিপুরে বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম সেলিম মিয়া।

শনিবার (১৩ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে কাতারের রাজধানী দোহার পুরাতন সবজি মার্কেট এলাকায় টাকা আত্মসাৎকারী মাসুদের বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওমানি নাগরিকের দোকানে কর্মরত ওই তিন বাংলাদেশি। তারা হলেন- মোহাম্মদ সাদ্দাম, মামুন হোসেন ও কবির হোসাইন।

অর্থ আত্মসাৎ করে কাতার থেকে দেশে চলে আসা মাসুদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কুমিল্লা পুলিশ সুপারের (এসপি) সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী তিন জন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।

তিন ভুক্তভোগী বলেন, দোকানের মালিক ওমানের নাগরিক কাতারে না থাকায় কৌশলে আমাদের অজান্তে গোপনে টাকা নিয়ে দেশে পালিয়ে যান মাসুদ। দোকানের মালিককে তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানালে মালিক ওমান থেকে ফিরে এসে আমরা জড়িত আছি উল্লেখ করে মামলা করেন।

তারা বলেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ আমাদের তিন জনের কাছে রয়েছে দাবি করে, দোকানের মালিক বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত এ অর্থ ফেরত না দেওয়া হবে ততদিন আমাদের তিন জনের দেশে যাওয়া বন্ধ। আমরা স্বল্প উপার্জনকারী, সামান্য বেতনের টাকা দিয়ে দেশে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোরকম চলি।

এমতাবস্থায় মাসুদুর রহমান মাসুদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি নেতা কাজী আশরাফ হোসাইন, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, শহিদ উল্লাহ, মনির হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।

তবে ফোনকলে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তা দেননি মাসুদ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এ কে এম মুনীরুজ্জামান বলেন, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনের মাধ্যমে কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। আমরা কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে আসামি মাসুদুর রহমান মাসুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।

এফআর