অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএম‌এ)। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। 

এ ঘোষণার পর পর্তুগাল আগামী সোমবার (২২ মার্চ) থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্য প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট রুই সান্তোস ইভো ও করোনা টিকাদান কার্যক্রম টাস্কফোর্সের সমন্বয়কারী ভাইস এডমিরাল হেনরিক গৌভেইয়া ই মেলো যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস পর্তুগালের নাগরিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা কোনো টিকা বাতিল করিনি। জনগণের স্বাস্থ্য বিবেচনায় সন্দেহ দূর করার জন্য টিকাদান স্থগিত ছিল। টিকা যে ব্রান্ডেরই হোক, নিরাপদ ও কার্যকর হলে আমরা সেটা ব্যবহার করব।

ভাইস এডমিরাল হেনরিক গৌভেইয়া ই মেলো জানান, টিকাদান কর্মসূচি স্থগিতের কারণে এ সপ্তাহে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষের টিকাদান পেছাল। আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে তা সমন্বয় করে ফেলতে পারব। ২৭ ও ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রি-স্কুল ও প্রাথমিক প্রথম সার্কেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হবে।

টিকা নিলে রক্ত জমাট বাঁধছে, এমন অভিযোগের পর সতর্কতার অংশ হিসেবে বেশকয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত রাখে। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মতোই পর্তুগাল গত তিন দিন আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া স্থগিত করে।

ওএফ/আরএইচ