কুয়েতে প্রবাসীদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি
কুয়েতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৫দিনের সরকারি ছুটি উপভোগ করেছেন প্রবাসীসহ দেশটির নাগরিকরা। এর ফলে নিজেদের মতো করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সৌদি-কুয়েত-কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যে শুক্রবার ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন কুয়েতের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩০মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কুয়েত সিটির গ্র্যান্ড মসজিদে। যেখানে ১০ হাজার পুরুষ ও ১ হাজার নারী অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
ঈদ জামাত শেষে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রামের পর জুমার নামাজ আদায় করে নতুন জামা পড়ে ঘুরতে বের হতে দেখা যায় প্রবাসীদের।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুয়েত সিটির মালিয়া, মুরগাব ওয়াতানিয়া মার্কেট, সুক মোবারকিয়া, সিটিতে স্মৃতিসৌধ, সার্ক টাওয়ার এলাকায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের বেশি ভিড় থাকে। আগে সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদে কুয়েতের মধ্যে বাংলাদেশিরা মিলিত হতেন জিলিব আল সুয়েখ (হাসাবিয়া) এলাকায়। কিন্তু কুয়েত সরকার মেগা সিটি করার লক্ষ্যে সেখানকার দোকানপাট, আবাসিক ভবনগুলোর লাইসেন্স নবায়ন বাতিল বন্ধ করে দেয়। যার কারণে নতুন করে ভিড় বেড়েছে এই এলাকাগুলোতে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে এসব এলাকায় দেখা যায়, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রবাসীরা। দুপুরের পর থেকে সূর্যের তেজ কমতে শুরু করলে বাড়তে থাকে ভিড়। আসরের পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রচুর লোক সমাগম দেখা যায়। সাধারণত কাজের চাপ ও ছুটি একইদিন না হওয়ায় প্রবাসীদের একে অন্যের সঙ্গে খুব একটা দেখা হয় না।
এদিকে আনন্দঘন মুহূর্তটাকে ধরে রাখতে গ্রুপ ছবি, সেলফি, ভিডিও ধারণ, হাসি-ঠাট্টা ও গল্প-আড্ডায় মেতে থাকতে দেখা যায় প্রবাসীদের। এছাড়া মুরগাবের রাজধানী হোটেলসহ ওয়াতানিয়া হলিডে ইন ও আশপাশের বাংলাদেশি হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ছিল প্রচুর ভিড়।
ঈদ উৎসব ঘিরে হোটেলগুলোতে ছিল দেশীয় স্বাদের সেমাই, রসমালাই, মিস্টি, দধি, জিলাপি, বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম, সাদা ভাত, মাংস ভুনা, হরেক রকমের ভর্তাসহ বিভিন্ন দেশীয় খাবার। এভাবেই প্রবাসীরা দেশে থাকা পরিবার-প্রিয়জনদের অপূর্ণতা কিছুটা হলেও পূরণের চেষ্টা করেন।
এমজে