পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।

করোনা মহামারির কারণে বিধিনিষেধ থাকায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে ‘গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগিজ পার্লামেন্টের সদস্য এবং পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও পর্তুগিজ কমিউনিটি বিষয়ক কমিটির সদস্য পাওলো নেভেস এবং লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পৌর এলাকা শান্তা মারিয়া মাইয়র ফ্রেগজিয়ার কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল কোয়েলহোসহ পর্তুগালের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ও প্রবাসী সাংবাদিকরা।

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ অনুসরণের কারণেই সম্ভব হয়েছে। 

পর্তুগিজ পার্লামেন্টের সদস্য পাওলো নেভেস বাংলাদেশের গৌরবের এই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাঙালি জাতিকে অভিবাদন জানান। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ততা পর্তুগালের সামনে একটি বড় সুযোগ হিসেবে উপস্থাপন করেন পর্তুগিজ পার্লামেন্টের এই সদস্য।

শান্তা মারিয়া মাইয়র ফ্রেগজিয়ার প্রেসিডেন্ট স্থানীয় বাংলাদেশিদের অর্জন এবং কমিউনিটিতে বিভিন্ন অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কমিউনিটির ব্যক্তিরা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরেন। এছাড়া তারা বাংলাদেশের অর্জনগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন এবং সব প্রবাসীকে ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

এসএসএইচ