ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের মধ্যে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন নাগরিকদের মধ্যে গড়ে তুলনামূলকভাবে ৪৪ শতাংশ নন-ইইউ দেশগুলোর নাগরিক। আর ৩৩ শতাংশ ইইউ নাগরিক ও ২১ শতাংশ স্থানীয় নাগরিক। নন-ইইউ নাগরিকদের মধ্যে নারী গড়ে ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ও পুরুষ ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ।

উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন নন-ইইউ নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রীসে ৭৮ শতাংশ, ইতালিতে ৬৮ শতাংশ ও স্পেনে ৬২ শতাংশ রয়েছেন।  অন্যদিকে স্পেন, ইতালি, সাইপ্রাস ও গ্রিসে ৫০ শতাংশ উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ইইউ নাগরিক রয়েছেন।

অপরদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের এই তিন দেশের নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন। দেশগুলো হলো: স্পেনে ৩৫, শতাংশ গ্রিসে ৩২ শতাংশ ও সাইপ্রাসে ৩১ শতাংশ। আর লুক্সেমবার্গে তিন ধরনের উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন নাগরিকদের অবস্থান প্রায় সমপর্যায়ে। যদিও এটি একটি ছোট দেশ।

উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি (কর্মী) বলতে আন্তর্জাতিক একটি মানদণ্ড রয়েছে। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসিফিকেশন অফ এডুকেশন (আইএসসিইডি)। এই মানদণ্ড ধরা হয়, যারা কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। একইসঙ্গে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই বছরের কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

এর থেকে বোঝা যায়, ইউরোপিয় ইউনিয়ন তাদের কর্মসংস্থানে তৃতীয় দেশের দক্ষতা সম্পন্ন নাগরিকদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। ফলে নন-ইইউ দেশের দক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বড় শ্রমবাজার। যার মাধ্যমে নন-ইইউ দেশগুলো প্রচুর অর্থ আয় করছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারত ইউরোপের এই শ্রমবাজারের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন। তবে এদের বেশিরভাগই অদক্ষ জনবল। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিতে পারে। তাহলে বাংলাদেশের পক্ষেও এই শ্রমবাজারের অংশ হওয়ার সুযোগ পাবে। আরো বেশি রেমিট্যান্স অর্জন করা সম্ভব হবে। 

ওএফ