ট্রাভেল এজেন্সিতে ভিড় প্রবাসীদের

করোনাভাইরাসের ভীতি কাটিয়ে দেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত কাতারের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। টিকেটের জন্য তাদের ভিড় এখন বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে। এর মাধ্যমে মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ট্রাভেল-ট্যুরিজম ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের।

করোনার বিধিনিষেধ থাকায় দীর্ঘদিন ছুটি কাটাতে দেশে যাননি বহু প্রবাসী বাংলাদেশি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও প্রবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে কাতার সরকার।

প্রবাসী কামাল জানান, ভাইরাসে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আমরা দেশে ফিরতে পারিনি। এখানকার সরকার বর্তমানে অনেক কিছু শিথিল করেছে। তাই দেশে যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেছি।

করোনাকালে সারাবিশ্বের সঙ্গে কাতারের ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রাভেল ট্যুরিজম খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।

কাতার জিসিসি হোলিডেস-এর জেনারেল ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর ট্রাভেল-ট্যুরিজমের একটি অফিসে কাজ করেছি। করোনায় বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাকরি হারিয়ে এক বছর বেকার ছিলাম। আবারও পুরনো প্রতিষ্ঠানেই শুরু করলাম। এখন মানুষ ছুটি কাটাতে দেশে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ট্রাভেল ট্যুরিজম খাত ঘুরে দাঁড়াবে।

কাতার-ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মুকবুল হোসেন বলেন, কাতারের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় মানুষ দেশে ফিরছেন। এতে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোতে চাপ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ ছিল। এর মাঝে বাংলাদেশ ও কাতার সরকারের অনুমতি নিয়ে আমরা বিশেষ কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছি। কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে এরইমধ্যে প্রায় আট লাখের মতো মানুষকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও দেশটিতে সংক্রমণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা দুশ্চিন্তায় আছেন কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এমএইচএস