ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশ খুশি। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনাও হচ্ছে। 

জানা গেছে, গত কয়েক মাসে আগেও দূতাবাসের সেবা নিয়ে প্রবাসীরা অসন্তুষ্ট ছিলেন। দূতাবাসের দুর্নীতি, অ্যায়পয়েন্টমেন্ট হয়রানি, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

কিন্তু নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান যোগদানের পর সেবার মান বৃদ্ধিতে দূতাবাসের কর্মকাণ্ডে আকস্মিক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়ে গেছে। ছুটির দিনেও দূতাবাস থেকে সেবা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। হঠাৎ এমন পরিবর্তনে বেশ খুশি প্রবাসীরা। কেউ আবার মন্তব্য করছেন, নতুন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানের হাতে কি যাদু আছে!

এ ব্যাপারে ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রসুল কিটন বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান দূতাবাসের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রদূত একজন পেশাদার কূটনৈতিক। তিনি দাবি করেন, সাবেক রাষ্ট্রদূতের মদদে কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অতীতে দুর্নীতি ও অনিয়মের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন রাষ্ট্রদূত আসার পর সেসব পরিবর্তন হচ্ছে। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান ও রোম দূতাবাসের সুনাম ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রদূত অনেক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় জাসদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাড. আনিচুজ্জামান আনিচ বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের আগমনে সেবার মানে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রদূতের অনেকটা স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল।

তার দাবি, দূতাবাসে কর্মরতদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দালাল ও সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল। যে কারণে দূতাবাসের সামনে প্রবাসীদের আন্দোলন করতে হয়েছিল। এর ফলে বাংলাদেশ সরকার রোমে একজন দক্ষ কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন। তার কাছে প্রবাসীদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। তিনি যোগদানের পরে দালাল, সিন্ডিকেট বন্ধের পাশাপাশি সেবার মান বৃদ্ধিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

অ্যাড. আনিচ বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে সেবার মান আরও বাড়বে। না হলে আবার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ী ও ইতালি প্রবাস কথার ইনচার্জ এম কে রহমান লিটন বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূত এসেই প্রবাসীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে নিরলসভাবে সেবার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। অবাক লাগে শনিবার তো বটেই এমনকি রোববারেও পাসপোর্ট বিতরণ করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিসিএস ১১তম ব্যাচের পেশাদার কূটনৈতিক শামীম আহসান। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। ২০১৪ সালের এপ্রিলে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি ওয়াশিংটন ডিসি, রোম, নাইরোবি, দোহা ও কুয়েতসহ বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশের মিশনে দায়িত্ব পালন করেন।

ওএফ