স্পেনে করোনা পরিস্থিতি আবারও অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে দেশটিতে করোনায় ১০৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনে ভাইরাসটিতে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে পাঁচজন করে মারা যাচ্ছেন। বর্তমানে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির মহামারি বিশেষজ্ঞরা এটিকে সংক্রমণের চতুর্থ ধাপের শুরু বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

গত ১ বছরে এ মহামারিতে স্পেনে মারা গেছেন ৭৫ হাজার ৬৯৮ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৯৬৫ জন।

স্পেনের ১৭টি প্রদেশের মধ্যে ১০টিতেই সংক্রমণের হার বাড়তির দিকে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রদেশে প্রতি এক লাখ অধিবাসীর গড়ে প্রতিদিন ২৫০ জনের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

হিসাব মতে, দেশটির লা রিওখা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ অঞ্চলের ৩৩ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া নাভাররা, এক্সট্রামাদুরা, ভ্যালেন্সিয়ায়ও আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তির দিকে।

রাজধানী মাদ্রিদেও বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। মাদ্রিদে বর্তমানে প্রতি এক লাখের ২৬৭ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ১০৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৫ জন। তবে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় মাদ্রিদে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ জন। এ পর্যন্ত কোভিড মহামারিতে মাদ্রিদে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ হাজার ৫৭৯ জন।

তবে কাতালুনিয়া প্রদেশসহ সাতটি প্রদেশে সংক্রমণের হার কমতির দিকে। স্পেনের পর্যটন অঞ্চল কাতালুনিয়ায় বর্তমানে প্রতি এক লাখে আক্রান্ত ১৯০ জন। গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কাতালুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ জন। করোনায় এ পর্যন্ত প্রদেশটিতে মোট মারা গেছেন ১৪ হাজার ৫৭৯ জন। কাতালুনিয়া ছাড়াও আরাগন, আস্তুরিয়াস, গালিসিয়া, আন্দালুসিয়া, বালেয়ারেস ও কানারিয়ায় সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। 

করোনা প্রতিরোধে স্পেনে প্রায় ২৯ লাখ মানুষকে পূর্ণ দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়েছে।  শতকরা হিসেবে যা মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশ। এছাড়া ৫৭ লাখ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, শতকরা হিসেবে যা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, প্রতি সপ্তাহের সোমবার ১২ লাখ ডোজ করে কোভিড প্রতিরোধী টিকা আসবে স্পেনে। চলতি গ্রীষ্মকালে দেশটির ৭০ শতাংশ অধিবাসীকে টিকার আওতায় আনার জন্যও কাজ করবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এফআর