আশ্রয়প্রার্থীদের বয়স যাচাইয়ে আইন করছে যুক্তরাজ্য
ছবি: সংগৃহীত
অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ঠেকানো এবং সন্দেহভাজন আশ্রয়প্রার্থীদের বয়স নিশ্চিত করার জন্য তাদের হাড় এবং দাঁতের এক্স-রে করার বিধান রেখে একটি আইন তৈরি করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি এ ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অভিবাসন খুবই আলোচিত ও বিতর্কিত একটি বিষয়। তবে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার।
বিজ্ঞাপন
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সপ্তাহে মন্ত্রণালয় আইনটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করবে। তারপর সংসদে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে এটি অনুমোদন করা হবে। এই আইনের মধ্য দিয়ে, এক্স-রে করার মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থীদের বৈজ্ঞানিকভাবে বয়স নির্ধারণের অনুমতি পাবে যুক্তরাজ্য। এ আইনটিকে পরে আরও নির্দিষ্ট করতে চায় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে দাঁত, হাত ও কব্জির এক্স-রে এবং হাঁটু ও গলার হাড়ের এমআরআই করে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তারা।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বয়স নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। কারণ, প্রাপ্তবয়স্ক অনেক আশ্রয়প্রার্থী নিজেদের অপ্রাপ্তবয়স্ক পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিতে চায়। আর যারা সত্যিই অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাদের বয়স নিশ্চিত করা গেলে তাদের জন্য বিদ্যমান সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা যাবে।
বিজ্ঞাপন
২০১৬ থেকে এ বছরের জুনের মধ্যে ১১ হাজার ২৭৫ জন আশ্রয়প্রার্থীর ঘটনা পাওয়া গেছে, যেখানে বয়স নিয়ে বিতর্ক ছিল। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৫১ জন প্রাপ্তবয়স্ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতি বছর উত্তর ফ্রান্স থেকে ছোটো নৌকায় চড়ে বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার অভিবাসী আসেন যুক্তরাজ্যে। এই অনিয়মিত আগমন থামাতে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকানোর ‘শেষ অস্ত্র’ হিসেবে অনিয়মিত অভিবাসন আইন করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ৫৭টি দেশকে নিরাপদ মনে করে যুক্তরাজ্য। তবে কাউকে নিরাপদ তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠাতে হলে সেই দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চুক্তির প্রয়োজন হবে। আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সঙ্গে ইতিমধ্যেই সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ফেলেছে দেশটি।
কিন্তু, আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে না রেখে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় পাঠাতে যুক্তরাজ্য সরকারের নেওয়া পরিকল্পনাকে আইন বহির্ভূত উল্লেখ করে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। ফলে আটকে গেছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকারের নেওয়া এই উদ্যোগ।
এমএ