পাল্টাপাল্টি সমাবেশ
টরন্টোতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার টরন্টোতে সোমবার (৯ অক্টোবর) পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে শহরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ শহরে নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করেছে।
টরোন্টোর ডাউন টাউনের প্রাণকেন্দ্রে নাথান ফিলিপ স্কয়ারে প্যালেস্টানিয়ান ইয়ুথ মুভমেন্ট গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিবাদে সমাবেশ করে। যদিও ওই সমাবেশের জন্য টরোন্টোর সিটি মেয়র অলিভিয়া চৌ’র কোনো অনুমতি ছিল না।
বিজ্ঞাপন
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড, সিটি মেয়র অলিভিয়া চৌ এ সমাবেশকে ‘সন্ত্রাসকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন এবং সমালোচনা করেন। অন্যদিকে টরন্টোর নর্থ ইয়র্কে মেল লাস্টম্যান স্কয়ারে ইসরায়েল সমর্থকদের সমাবেশ হয়।
দুটি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উভয় সমাবেশের আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া কানাডার জুয়েস অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগফোড বলেছেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা অপ্রীতিকর ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। নিরপরাধ নারী-পুরুষকে হত্যা করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডগফোর্ট সিটি মেয়র অলিভিয়া চৌ, এমনকি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ইসরায়েলি সমাবেশের পক্ষে অবস্থান নেন এবং তারা ফিলিস্তিনিদের সমাবেশের বিপক্ষে বক্তব্য দেন। তারা সেটিকে হামাস সমর্থকদের সমাবেশ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, এটা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, আমরা তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।
কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের যে ধাক্কা তা আমরা এখনো সামলাতে পারিনি, তার মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ আমাদের জীবনকে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে ফেলে দেবে, আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের অবসান চাই। সব ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে মুক্তি চাই। যুদ্ধ বন্ধ হোক। হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ হোক– আমরা সেটা চাই।
উল্লেখ্য, বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডায় বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদরা আশ্রয় গ্রহণ করে বসতি স্থাপন করছে। সঙ্গতকারণেই কানাডায় ইসরায়েলি ইহুদি ও ফিলিস্তিনিরা বসবাস করছে। যেহেতু ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এই আন্তর্জাতিক উত্তেজনার সূত্রপাত, তাই কানাডার বিভিন্ন শহরেও এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে। বিশেষ করে কানাডার জনবহুল শহরগুলোতে।
/এসএসএইচ/