সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস

৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করেছে পর্তুগাল সরকার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্য প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট রুই সান্তোস ইভো এবং করোনা টিকাদান কার্যক্রম টাস্কফোর্সের সমন্বয়কারী ভাইস অ্যাডমিরাল হেনরিক গৌভেইয়া ই মেলো এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস বলেছেন, আরও বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ৬০ বছর বয়সের কম ব্যক্তিদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার  টিকা স্থগিত রাখছি। আমরা কার্যক্রমটি এমনভাবে সাজিয়েছি যাতে সবাইকে টিকা দেওয়া যায়।

ইতিমধ্যে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গ্রাসা ফ্রেইতাস। তিনি বলেন, রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার সংখ্যা খুবই কম।

বুধবার (৭ এপ্রিল) ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর একটি যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছে। তাই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত এবং জনগণের স্বাস্থ্য বিবেচনায় পর্তুগালসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ বয়স ভেদে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

যুক্তরাজ্যে ৩০ বছর; ফ্রান্সে ও বেলজিয়ামে ৫৫ বছর; জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডে ৬০ বছর; সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ৬৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিত করেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বিশদভাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিবেচনা করে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এটি নিশ্চিত নয়।

এর আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা একটি সাধারণ বিষয়। খুব কম সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রেই এটি ঘটেছে। টিকার সঙ্গে এর তেমন কোনো যোগসূত্র নেই। তবে সংস্থাটিও কিছুদিন আগে শিশুদের ওপর টিকার ট্রায়াল স্থগিত রেখেছে।

সতর্কতা হিসেবে পর্তুগাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক গ্রাসা ফ্রেইতাস জনগণের জন্য একটি সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়েছেন। টিকা নেওয়ার পর কারো যদি টানা মাথা ব্যথা, চামড়ার উপরে লাল হয়ে যাওয়া বা স্ট্রোক করার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে তিনি অনুরোধ করেছেন।

এখন পর্যন্ত পর্তুগালে ২০ লাখ ৬৯ হাজার ২৯৩ জনকে কোভিড-১৯ টিকার একটি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ উপরে। এদের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে দুটি ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৬ শতাংশ জনগণ।

এমএইচএস